HSC ICT 2nd Chapter CQ Suggestion 2024- 2025 with solution

HSC ICT 2nd Chapter CQ Suggestion 2024- 2025 with solution

গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ০১

১। ‘ক’ কলেজের প্রশাসনিক ভবন, একাডেমিক ভবন, লাইব্রেরি ভবন এবং অন্যান্য কাজে ব্যবহৃত ভবনগুলো স্বল্প দূরত্বে অবস্থিত বর্তমানে প্রতিটি ভবনের কম্পিউটারগুলো নিজস্ব নেটওয়ার্ক ব্যবস্থায় পারস্পরিক তথ্য আদান-প্রদান করতে পারে। অধ্যক্ষ মহোদয় এখন সকল কম্পিউটারকে একই নেটওয়ার্কের আওতায় আনার পরিকল্পনা গ্রহণ করলেন। DH23

ক. পিকোনেট কী?
খ. ব্যবহারকারী এবং সার্ভিস প্রদানকারী উভয়ই লাভবান হয়ে থাকেন’। ব্যাখ্যা কর ।
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত কলেজের একাডেমিক ভবনের নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. অধ্যক্ষ মহোদয়ের পরিকল্পনা সবচেয়ে কম খরচে বাস্তবায়নের জন্য কোন ট্রান্সমিশন মিডিয়া উত্তম? যৌক্তিক ব্যাখ্যা কর।

১নং প্রশ্নের উত্তর :

ক) বু-টুথ প্রযুক্তির মাধ্যমে যে নেটওয়ার্ক তৈরি হয় তাই পিকোনেট । ব্লু-টুথ সিস্টেমের মৌলিক উপাদান হলো পিকোনেট ।

খ ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যবহারকারী এবং সার্ভিস প্রদানকারী উভয়ই লাভবান হয়ে থাকেন। ক্লাউড কম্পিউটিং এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা স্বল্প খরচে সফটওয়্যার সার্ভিস এবং প্রায় সীমাহীন স্টোরেজ সুবিধা ব্যবহার করতে পারেন। এতে ব্যবহারকারীর অপারেটিং খরচ অনেক কমে যায়। আবার সার্ভিস প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ তাদের সার্ভিস ভাড়া দিয়ে ব্যবসায়িকভাবে লাভবান হতে পারে। তাই ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবহারকারী এবং সার্ভিস প্রদানকারী উভয়ের জন্যই লাভজনক।

গ. উদ্দীপকে ‘ক’ কলেজটির বর্তমান নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা হলো LAN (Local Area Network)। এ ব্যবস্থায় অনেক ডিভাইস একসেস পাওয়া যায় এবং রিপিটার ব্যবহার করে এর বিস্তৃতি সর্বোচ্চ ১কি. মি. করা যায়। ‘ক’ কলেজটির বিস্তৃতি ১কি. মি. এর মধ্যে বিদ্যমান থাকবে বলে ধরে নেওয়া যায়। তাই ব্যবস্থাটি LAN হিসেবে বিবেচনা করা যায়। ছোট অফিস-আদালত, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান, স্কুল কলেজ ক্যাম্পাস কিংবা একটি বিল্ডিং বা স্বল্প দূরত্বে অবস্থিত কয়েকটি ভবনে স্থাপিত অসংখ্য কম্পিউটারের মধ্যে এ নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হয়। লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক বা LAN তারের মাধ্যমে, তারবিহীন বা উভয়ের সংমিশ্রণে তৈরি করা যায়।

ঘ) উদ্দীপকের “ক’ কলেজের ভবনসমূহ পরস্পর থেকে স্বল্প দূরত্বে অবস্থিত। কলেজটির আন্তঃভবন দূরত্ব বিবেচনায় কলেজের সকল কম্পিউটারসমূহের মধ্যে সবচেয়ে কম খরচে, অভিন্ন নেটওয়ার্ক স্থাপনে ট্রান্সমিশন মিডিয়া হিসেবে টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল ব্যবহার করা সব থেকে বেশি যুক্তিযুক্ত হবে।

যুক্তিসহ মতামত : কলেজটির নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা হলো LAN এ নেটওয়ার্কে তার মাধ্যম হিসেবে টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল, কো-অ্যাক্সিয়াল ক্যাবল বা ফাইবার অপটিক ক্যাবল ব্যবহৃত হয়। এ তার মাধ্যমগুলোর মধ্যে টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল সবচেয়ে সস্তা। স্বল্প দূরত্বে নেটওয়ার্কিং-এর জন্য টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এছাড়া সহজে স্থাপন এবং মেরামতও করা যায়। অন্যদিকে কো-অ্যাক্সিয়াল ক্যাবল ও ফাইবার অপটিক ক্যাবলের দাম ও স্থাপন খরচ বেশি হওয়ায় এ তার দিয়ে অধ্যক্ষ মহোদয়ের পরিকল্পনা পূরণ হবে না।

সুতরাং কলেজটির স্বল্পদূরত্বে অবস্থিত ভবনগুলোর মাঝে কম খরচে অভিন্ন নেটওয়ার্ক স্থাপনের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল সবচেয়ে উত্তম।

HSC ICT 2nd Chapter CQ Suggestion 2024- 2025 with solution

গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ০

HSC ICT 2nd Chapter CQ Suggestion 2024- 2025 with solution

ক. ডি-মডুলেশন কী?
খ. মালিকানার ভিত্তিতে নেটওয়ার্কের ধরন ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের চিত্র-১ এর নেটওয়ার্ক টপোলজি ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত চিত্র-১ এবং চিত্র-২ এর টপোলজির মধ্যে কোনটি বেশি সুবিধাজনক? উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও। DH23

২ নং প্রশ্নের উত্তর

ক প্রাপক কম্পিউটারের সাথে সংযুক্ত মডেম কর্তৃক অ্যানালগ সংকেতকে ডিজিটাল সংকেতে রূপান্তরের প্রক্রিয়াই হলো ডি-মডুলেশন।

খ মালিকানার উপর ভিত্তি করে কম্পিউটার নেটওয়ার্ককে দুই ভাগে ভাগ করা যায় ।
যথা— ১ প্রাইভেট নেটওয়ার্ক ও ২. পাবলিক নেটওয়ার্ক।

প্রাইভেট নেটওয়ার্ক : যে নেটওয়ার্কে ব্যবহারকারীর সংখ্যা নিয়ন্ত্রিত এবং কোনো কম্পিউটারকে নেটওয়ার্কে যুক্ত করতে কর্তৃপক্ষের অনুমতির প্রয়োজন হয়, তাই প্রাইভেট নেটওয়ার্ক ।

পাবলিক নেটওয়ার্ক : যে নেটওয়ার্কে ব্যবহারকারীর সংখ্যা নিয়ন্ত্রিত নয় এবং যেকোনো সময় যেকেনো কম্পিউটার নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হতে পারে, তাকে পাবলিক নেটওয়ার্ক বলে।

গ. উদ্দীপকের চিত্র-১ এর নেটওয়ার্ক টপোলজিটি হলো বাস টপোলজি । যে টপোলজিতে একটি সংযোগ লাইনের সাথে সব ধরনের নোড অর্থাৎ কম্পিউটার ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি বা ডিভাইস ইত্যাদি যুক্ত থাকে নিউটন সৃজনশীল তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি তাই বাস টপোলজি। এতে প্রধান সংযোগ লাইনের দু’প্রান্তে দু’টি টার্মিনেটর থাকে। এই প্রধান সংযোগ লাইনকে বাস (Bus) বলা হয়। নেটওয়ার্কের প্রতিটি নোড স্বতন্ত্রভাবে বাসে সংযুক্ত থাকে। এক্ষেত্রে ডেটা প্রবাহ ব্যবস্থা হয় দ্বিমুখী। ডেটা পাঠানোর প্রয়োজন হলে প্রেরক কম্পিউটার এ লাইনে ডেটা পাঠিয়ে দেয়। প্রেরিত ডেটার সাথে প্রাপক কে হবে সে তথ্যও থাকে। বাসের সাথে যুক্ত অন্যান্য প্রতিটি কম্পিউটার বাসে প্রবাহিত ডেটা পরীক্ষা করে দেখে। শুধুমাত্র প্রাপক কম্পিউটারই ডেটা গ্রহণ করে, অন্যরা এই ডেটা গ্রহণ থেকে বিরত থাকে। কম তার এবং সরল সংগঠনের কারণে বাস টপোলজি ইনস্টলেশন সহজ ও সাশ্রয়ী। এক্ষেত্রে কোনো কম্পিউটার বিচ্ছিন্নকরণ বা নষ্ট হলেও সম্পূর্ণ নেটওয়ার্ক অচল হয়ে পড়ে না। কম্পিউটার ল্যাবে স্বল্প ব্যয়ে ব্যবহারের জন্য বাস টপোলজি উত্তম।

ঘ উদ্দীপকের চিত্র-১ হলো বাস টপোলজি এবং চিত্র-২ হলো স্টার টপোলজি। বাস ও স্টার টপোলজির মধ্যে বাস টপোলজি অধিক সুবিধাজনক। নিচে তা বর্ণনা করা হলো-

বাস টপোলজিতে একটি মূল তারের সাথে সবকটি ওয়ার্কস্টেশন বা কম্পিউটার সংযুক্ত থাকে। যার প্রধান ক্যাবলটিকে ব্যাকবোন বলে। এ টপোলজি ছোট আকারের নেটওয়ার্কে ব্যবহার খুব সহজ, সাশ্রয়ী ও বিশ্বস্ত। এ টপোলজিতে সবচেয়ে কম ক্যাবল প্রয়োজন হয়। ফলে খরচও সাশ্রয় হয়। প্রয়োজনে রিপিটার ব্যবহার করে নেটওয়ার্কের ব্যাকবোন সম্প্রসারণ করা যায়। এ সংগঠনে কোনো কম্পিউটার নষ্ট হয়ে গেলে সম্পূর্ণ সিস্টেম নষ্ট হয়ে যায় না। এ সংগঠনে কোনো কম্পিউটার বা যন্ত্রপাতি যোগ করলে বা সরিয়ে নিলে পুরো নেটওয়ার্কের কার্যক্রম ব্যাহত হয় ‘না। অপরদিকে স্টার টপোলজিতে একটি কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণকারী কম্পিউটার বা হোস্ট কম্পিউটারের সাথে অন্যান্য কম্পিউটার সংযুক্ত করে নেটওয়ার্ক বাস্তবায়ন করা হয়। কিন্তু কেন্দ্রীয় অবস্থানে থাকা হাবে কোনো প্রকার সমস্যা হলে তা পুরো নেটওয়ার্ককে অকেজো করে দেয় এবং স্টার টপোলজিতে পরিমাণে বেশি ক্যাবল ব্যবহৃত হয় বিধায় এটি একটি ব্যয়বহুল প্রক্রিয়া।

সুতরাং উপরের বর্ণনার আলোকে বলা যায় যে, উদ্দীপকের টপোলোজিদ্বয়ের মধ্যে বাস টপোলজি অধিক সুবিধাজনক।

HSC ICT 2nd Chapter CQ Suggestion 2024- 2025 with solution

গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ০

দৃশ্যকল্প-১ : শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক এক ধরনের ক্যাবল দেখালেন যা, স্বচ্ছ কাচ দিয়ে তৈরি।

দৃশ্যকল্প-২

HSC ICT 2nd Chapter CQ Suggestion 2024- 2025 with solution

ক. Wi-MAX কী?
খ. অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনে সময় বেশি লাগে কেন? ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের দৃশ্যকল্প-১ এ উল্লিখিত তার মাধ্যম সম্পর্কে আলোচনা কর ।
ঘ) উদ্দীপকের দৃশ্যকল্প-২ এ ডেটা কমিউনিকেশনের মাধ্যমে দুইটির মধ্যে কোনটি উত্তম? বিশ্লেষণপূর্বক মতামত দাও । RJ23

প্রশ্নের উত্তর

ক) WiMax দ্রুতগতির যোগাযোগ প্রযুক্তি, যেটি প্রচলিত DSL এবং তারযুক্ত ইন্টারনেটের পরিবর্তে ওয়্যারলেস ইন্টারনেট সুবিধা দিয়ে থাকে।

খ) অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনে সময় বেশি লাগার কারণ হলো দুটি ক্যারেক্টারের মাঝখানে অসমান বিরতি। অর্থাৎ অ্যাসিনক্রোনাস ডেটা ট্রান্সমিশন পদ্ধতিতে একটি ক্যারেক্টার ট্রান্সমিট হওয়ার পর আরেকটি ক্যারেক্টার ট্রান্সমিট করার মাঝের বিরতি সময় সমান না হয়ে ভিন্ন ভিন্ন হয়। তাই এই পদ্ধতিতে ডেটা চলাচলে সময় বেশি লাগে।

গ উদ্দীপকের দৃশ্যকল্প-১ এ উল্লিখিত তার মাধ্যমটি হলো অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল। নিচে অপটিক্যাল ফাইবার সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-

হাজার হাজার কাচের তন্তু দিয়ে তৈরি যে ক্যাবলের মাধ্যমে আলোর গতিতে ডেটা আদান-প্রদান করা হয় তাকে অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল বলে। এ ক্যাবলের মধ্য দিয়ে ডেটা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে লেজার রশ্মি ব্যবহার করা হয়। ফাইবার অপটিক ক্যাবল বিশেষভাবে পরিশুদ্ধ কাচের তৈরি অত্যন্ত সূক্ষ্ম তন্তু, যদিও বিশেষায়িত কাজের জন্য প্লাস্টিক বা অন্য কোনো স্বচ্ছ মাধ্যমের তৈরি ফাইবার অপটিক ক্যাবলও পাওয়া যায়। ফাইবার অপটিক ক্যাবলের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি ইনফ্রারেড আলোর একটি রেঞ্জের ভেতর (1300-1500 nm ) অবিশ্বাস্য রকম স্বচ্ছ, তাই শোষণের কারণে বিশেষ কোনো লস ছাড়াই এর ভেতর দিয়ে সিগন্যাল দীর্ঘ দূরত্বে নেয়া যায়।

ফাইবার অপটিক ক্যাবলের কেন্দ্রের অংশটুকুর প্রতিসরাংক বাইরের অংশের প্রতিসরাংক থেকে বেশি। যে অংশের প্রতিসরাংক বেশি তাকে কোর (Core) বলে এবং যে অংশের প্রতিসরাংক কম তাকে ক্ল্যাড (Clad) বলে। প্রতিসরাংকের পার্থক্যের কারণে পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলনের মাধ্যমে কোনো লস ছাড়াই কোরের ভেতর দিয়ে আলো যেতে পারে। এখানে কোনো তড়িৎ সিগন্যাল প্রবাহিত হয় না। ফলে এর চারপাশ দিয়ে কোনো তড়িৎ চৌম্বকীয় আবেশ তৈরি হয় না।

ঘ। উদ্দীপকের দৃশ্যকল্প-২ এ ডেটা কমিউনিকেশনের মাধ্যম দুটি হলো রেডিও ওয়েভ এবং স্যাটেলাইট। রেডিও ওয়েভ ও স্যাটেলাইটের মধ্যে স্যাটেলাইট উত্তম। নিচে তা বিশ্লেষণপূর্বক আলোচনা করা হলো-

3 কিলোহার্টজ থেকে 300 গিগাহার্টজের মধ্যে সীমিত ইলেকট্রোম্যাগনেটিক স্পেকট্রামকে রেডিও ওয়েভ বলে। রেডিও ওয়েভ পাঠানোর জন্য যে এন্টেনার প্রয়োজন হয় তার দৈর্ঘ্য তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের আনুমানিক চার ভাগের এক ভাগ হতে হয়। সে কারণে কম ফ্রিকোয়েন্সির রেডিও ওয়েভ খুব বাস্তবসম্মত নয়। রেডিও ওয়েভের ফ্রিকোয়েন্সি কম বলে এক সাথে বেশি ডেটা পাঠানো যায় না এবং এটি মানবদেহে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।

অপরদিকে, স্যাটেলাইটের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ ডেটা পাঠানো যায়। ভয়েস কল, ভিডিও কল ইত্যাদি সেবা প্রদান করা যায়। প্রতিরক্ষা, প্রাকৃতিক দুর্যোগে যোগাযোগ করা যায় এবং আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব হয়। অর্থাৎ উপরোক্ত আলোচনা থেকে বলা যায় যে, রেডিও ওয়েভ ও স্যাটেলাইটের মধ্যে স্যাটেলাইট উত্তম।

HSC ICT 2nd Chapter CQ Suggestion 2024- 2025 with solution

গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ০৪

নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

HSC ICT 2nd Chapter CQ Suggestion 2024- 2025 with solution

ক. ব্যান্ডউইথ কী?
খ. “ডেটা ব্লক আকারে ট্রান্সমিট হয়”- ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের চিত্র-১ এ ব্যবহৃত D ডিভাইসটির ভূমিকা এই টপোলজির ক্ষেত্রে আলোচনা কর।
ঘ. চিত্র-১ এবং চিত্র-২ এর মধ্যে সংযোগের ক্ষেত্রে নেটওয়ার্ক কানেক্টিং ডিভাইসসমূহের তুলনামূলক আলোচনা করতঃ উত্তমটি নির্বাচন করো।

প্রশ্নের উত্তর

ক প্রতি সেকেন্ডে যে পরিমাণ ডেটা এক স্থান হতে অন্য স্থানে স্থানান্তরিত হয় অর্থাৎ ডেটা স্থানান্তরের হারই ব্যান্ডউইথ।

খ সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনে ডেটা ব্লক আকারে ট্রান্সমিট হয়। যে পদ্ধতিতে প্রথমে প্রেরক স্টেশনের প্রাইমারি স্টোরেজ ডিভাইসে ডেটাকে সংরক্ষণ করা হয় এবং ডেটার ক্যারেক্টারসমূহকে ব্লক আকারে ভাগ করে সমান বিরতিতে প্রতিবারে একটি করে ব্লক ট্রান্সমিট করা হয়, তাকে সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন বলে। এই পদ্ধতিতে প্রথমেই . ডেটাকে প্রাইমারি স্টোরেজ তথা পিরিয়ডিক ফ্রেম কম্পিউটারে ব্যবহৃত র‍্যাম, ক্যাশ অথবা সিপিইউ মেমোরিতে সংরক্ষণ করে অতঃপর তাকে ব্লক বা ফ্রেম আকারে ভাগ করে নেওয়া হয়। প্রতিটি ব্লকে কমপক্ষে ৮০ থেকে ১৩২টি ক্যারেক্টর থাকে।

গ. উদ্দীপকের চিত্র-১ এ উল্লেখিত টপলোজিটি হলো স্টার টপোলজি এবং ID ডিভাইসটি হলো স্টার টোপোলজির কেন্দ্রীয় ডিভাইস। স্টার টপোলজির কেন্দ্রীয় ডিভাইস হিসেবে হাব বা সুইচ ব্যবহার করা হয়।নিচে স্টার টপোলজির ক্ষেত্রে উক্ত ডিভাইসের ভূমিকা আলোচনা করা হলো-

১. এর সাহায্যে নেটওয়ার্কের কম্পিউটার সমূহ পরষ্পরের সাথে কেন্দ্রীয়ভাবে যুক্ত থাকে ।
২. প্রেরক থেকে প্রাপ্ত ডাটা সকল পোর্টে প্রেরণ করে।
৩. উক্ত টপোলজিতে ডিভাইসটি LAN ডিভাইস হিসেবে কাজ করে।
৪. স্টার টপোলজিতে হাব নেটওয়ার্কের পরিধি বাড়াতে পারে।

ঘ. উদ্দীপকের চিত্র-১ হলো স্টার টপোলজি এবং চিত্র-২ হলো মেশ টপোলজি। এদের মধ্যে সংযোগের ক্ষেত্রে নেটওয়ার্ক কানেক্টিং ডিভাইস হিসেবে গেটওয়ে বা রাউটার ব্যবহার করা যায়। তবে এদের মধ্যে সংযুক্তি ঘটাতে গেটওয়ে ডিভাইসটি বেশি উপযোগী। রাউটারের মাধ্যমে সংযুক্ত করা সম্ভব নয় কারণ রাউটার একই প্রোটোকল বিশিষ্ট নেটওয়ার্ক সংযুক্ত করতে পারে। কিন্তু উদ্দীপকে দুটি ভিন্ন নেটওয়ার্ক দেওয়া হয়েছে। গেটওয়ে ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রোটোকল বিশিষ্ট নেটওয়ার্ক সংযুক্ত করতে পারে। যেহেতু উদ্দীপকের চিত্র দুটি ভিন্ন নেটওয়ার্কের, তাই এদের জন্য রাউটার থেকে অধিক শক্তিশালী ডিভাইস ব্যবহার করা উপযোগী। আর এ ডিভাইসটি হচ্ছে গেটওয়ে ।

গেটওয়ে হচ্ছে ইন্টারনেটের প্রবেশ পথ অর্থাৎ এমন একটি ডিভাইস যা দুটি ভিন্ন প্রকৃতির নেটওয়ার্ক যেমন— নেটওয়ার্ক-১ ও নেটওয়ার্ক-২ এর মধ্যে ডেটা বিনিয়োগের সুযোগ করে দেয়, যা রাউটার, সুইচ বা হাব-এ সকল ডিভাইস দ্বারা সম্ভব নয় ।

উপরোক্ত আলোচনা থেকে দেখা যায় যে, নেটওয়ার্ক-১ ও নেটওয়ার্ক-২ এর নেটওয়ার্ক সংযুক্ত করার জন্য গেটওয়ে ডিভাইসটি সবচেয়ে বেশি উপযোগী। এর ফলে ডেটার সংঘর্ষ বা কলিশন সম্ভাবনা কম হয় এবং বিভিন্ন প্রোটোকল বিশিষ্ট নেটওয়ার্ক সংযুক্ত করতে পারে। এর ফলে গেটওয়ে ডিভাইসটি উপযোগী।

HSC ICT 2nd Chapter CQ Suggestion 2024- 2025 with solution

গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ০৫

আইসিটি শিক্ষক ক্লাসে বললেন ডেটা ট্রান্সমিশনের একটি পদ্ধতিতে ডেটা একটি তারের মধ্য দিয়ে স্টার্ট ও স্টপ বিটের সমন্বয়ে প্যাকেট আকারে ট্রান্সমিট হয় এবং অপর একটি পদ্ধতিতে ডেটা ফ্রেমের সাথে হেডার ও ট্রেইলার যুক্ত হয়ে ট্রান্সমিট হয়। এরপর শিক্ষক এমন একটি প্রযুক্তির কথা বললেন যার মাধ্যমে তারবিহীনভাবে বহুদূর পর্যন্ত ইন্টারনেট সেবা প্রদান করা যায় । CU23

ক. ফুল ডুপ্লেক্স কী?
খ. রিং টপোলজিতে সবগুলো কম্পিউটারের সাথে সবগুলো কম্পিউটার সংযুক্ত করলে কোন টপোলজি হয়- ব্যাখ্যা কর।
গ উদ্দীপকে উল্লিখিত তারবিহীন ইন্টারনেট সেবা প্রদান করার প্রযুক্তিটি বর্ণনা কর।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত ডেটা ট্রান্সমিশনের পদ্ধতি দুটোর মধ্যে তুলনামূলক বিশ্লেষণ কর।

প্রশ্নের উত্তর

কর যে ব্যবস্থাপনায় দুটি ডিভাইসের মধ্যে একই সাথে ডেটা আদান-প্রদান করা যায় তাই ফুল-ডুপ্লেক্স। যেমন— টেলিফোন, মোবাইল ইত্যাদি।

খ। রিং টপোলজিতে সবগুলো কম্পিউটারের সাথে সবগুলো কম্পিউটার সংযুক্ত করলে মেশ টপোলজি গঠিত হয়। যে টপোলজিতে একটি কম্পিউটার নেটওয়ার্কভুক্ত অন্য প্রতিটি কম্পিউটারের সাথে সরাসরি যুক্ত থাকে, তাই মেশ টপোলজি। এ ধরনের সংগঠনে নেটওয়ার্কভুক্ত কম্পিউটারগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সংযোগকে পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট (পিয়ার-টু-পিয়ার) লিংক বলা হয়। এটি সম্পূর্ণরূপে আন্তঃসংযুক্ত টপোলজি নামেও পরিচিত। এই টপোলজিতে n সংখ্যক নোডের জন্য প্রতিটি নোডে (n-1) টি সংযোগের প্রয়োজন হয়। ডেটা যোগাযোগের নির্ভরশীলতাই যেখানে মুখ্য সেসব ক্ষেত্রে মেশ টপোলজি ব্যবহার হয়।

গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত তারবিহীন ইন্টারনেট সেবা প্রদান করার প্রযুক্তিটি হলো WiMax. নিচে এ প্রযুক্তিটি বর্ণনা করা হলো-

WiMax হচ্ছে একটি ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি, যা মাইক্রোওয়েভ তরঙ্গ ব্যবহার করে ব্যাপক এলাকায় WMAN-Wireless Metropolitan Area Network) ইন্টারনেট ও নেটওয়ার্ক সুবিধা দেয়। এটি সাধারণত 2 থেকে 66 GHz ফ্রিকোয়েন্সিতে কাজ করে এবং ৪০ Mbps থেকে 1 Gbps পর্যন্ত গতিতে ডেটা ট্রান্সফার রেট প্রদানে সক্ষম। প্রতিটি বেস স্টেশনের কভারেজ এলাকা 50 থেকে 80 কিলোমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। এই প্রযুক্তিতে একটি একক বেস স্টেশনের মাধ্যমে বিশাল ভৌগোলিক এলাকায় হাজার হাজার ব্যবহারকারীকে ওয়্যারলেস ইন্টারনেট সুবিধা দেওয়া যায়। এর ডাউনলিংক গতি এবং আপলিংক গতি অপেক্ষাকৃত বেশি। এর নিরাপত্তা ব্যবস্থা অপেক্ষাকৃত ভালো। এর সিগন্যাল নয়েজ সর্বোচ্চ 7 ডেসিবল। এটি অপেক্ষাকৃত অধিক মানসম্মত ও অধিক নিরাপত্তা সুবিধা সংবলিত ওয়্যারলেস প্রটোকল। এ প্রটোকলের ডেটা ট্রান্সমিশন রেট 30 থেকে 70 মেগাবিট/ সেকেন্ড তবে স্থির ক্ষেত্রে গিগাবিট/সে, পর্যন্ত হতে পারে।

HSC ICT 2nd Chapter CQ Suggestion 2024- 2025 with solution

ঘ। উদ্দীপকে বর্ণিত ১ম ট্রান্সমিশন পদ্ধতিতে ডেটা স্টার্ট ও স্টপ বিটের সমন্বয়ে প্যাকেট আকারে ট্রান্সমিট হয়। এক্ষেত্রে স্টার্ট ও স্টপ বিট ডেটা ট্রান্সমিট হলো অ্যাসিনক্রোনাস এবং প্যাকেট আকারে ট্রান্সমিট হলো সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন। যেহেতু এ ট্রান্সমিশন হলো অ্যাসিনক্রোনাস ও সিনক্রোনাসের সমন্বয়, তাই বলা যায় এটি হলো আইসোক্রোনাস ট্রান্সমিশন। অ্যাসিনক্রোনাস ও সিনক্রোনাসের মিশ্র পদ্ধতি হচ্ছে আইসোক্রোনাস ট্রান্সমিশন। অন্যদিকে ২য় ট্রান্সমিশন পদ্ধতিতে ডেটা ফ্রেমের সাথে হেডার ও ট্রেইলার যুক্ত হয়ে ট্রান্সমিট হয়।

সুতরাং এটি হলো সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন। নিচে এ দুটি ট্রান্সমিশন পদ্ধতির মধ্যে তুলনামূলক আলোচনা করা হলো-সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনে প্রথমে প্রেরক স্টেশনের প্রাইমারি স্টোরেজ ডিভাইসে ডেটাকে সংরক্ষণ করা হয়, পরবর্তীতে ডেটাগুলো ব্লক আকারে ট্রান্সমিট করা হয়। পক্ষান্তরে আইসোক্রোনাসে প্রাইমারি ডিভাইসে ডেটা সংরক্ষণ না করে, যখন প্রয়োজন তখনই ট্রান্সমিট করা যায়।

সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনে ডেটা প্রেরণের ক্ষেত্রে ভুলত্রুটি শনাক্ত করা যায়। পক্ষান্তরে আইসোক্রোনাস পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট সময়সীমার শর্তাধীনে ডেটা প্রেরণের ক্ষেত্রে ভুল ত্রুটি শনাক্ত করা যায় না। প্রযুক্তিগতভাবে সিনক্রোনাস পদ্ধতি অপেক্ষাকৃত জটিল ও ব্যয়বহুল হলেও বেশি ব্যান্ডউইথের ডেটা দূরবর্তী স্থানে পাঠানোর জন্য এটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।

তাই বড় ধরনের নেটওয়ার্কসহ মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক, টিভি নেটওয়ার্ক ইত্যাদি ক্ষেত্রে এটি অপরিহার্য। কিন্তু আইসোক্রোনাস ট্রান্সমিশন পদ্ধতিতে প্রেরকের পাঠানো ডেটা ব্লক প্রাপকের নিকট সঠিকভাবে পৌঁছেছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখার উপায় ও ভুল সংশোধনের ব্যবস্থা নেই। এজন্য সকল ক্ষেত্রে এটি নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি নয়।

[বিশেষ দ্রষ্টব্য : প্রশ্নটি কিছুটা দ্বিধাপূর্ণ হলেও সঠিক তথ্যানুযায়ী ১ম পদ্ধতি হলো আইসোক্রোনাস এবং ২য় পদ্ধতি হলো সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন।]
কুমিল্লা বোর্ডের উত্তরপত্র মূল্যায়নের সহায়ক নির্দেশিকা অনুযায়ীও উদ্দীপকের প্রথম পদ্ধতি হলো ইসোক্রোনাস ট্রান্সমিশন এবং দ্বিতীয় পদ্ধতি হলো সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন]

গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ০

শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক ক্যাবল টিভিতে ব্যবহৃত তার মাধ্যম সম্পর্কে আলোচনা করলেন। তিনি গত ক্লাসে ইন্টারনেটভিত্তিক এক ধরনের পরিসেবা সম্পর্কে আলোচনা করেছিলেন। উক্ত ব্যবস্থায় ব্যবহারকারী ছোট-বড় যেকোনো চাহিদা মেটাতে পারে এবং ব্যবহারের পরিমাণের উপর বিল নির্ধারিত হয়।

ক. ডেটা চলাচলের মাধ্যম কী?
খ. “ডেটা উভয় দিকে প্রেরণ সম্ভব, কিন্তু একই সময়ে নয়”- ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত তার মাধ্যম সম্পর্কে আলোচনা কর ।
“ঘ. উদ্দীপকে শিক্ষক যে পরিসেবার কথা উল্লেখ করেছেন তা বিশ্লেষণপূর্বক মতামত দাও ।CTG 23

প্রশ্নের উত্তর

ক ডেটা আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে প্রেরক থেকে গ্রাহক পর্যন্ত যেসব সংযোগ স্থাপন করা হয় তাদেরকে ডেটা চলাচলের মাধ্যম বলে। যেমন— টেলিফোন লাইন, ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবল, মাইক্রোওয়েভ ইত্যাদি।

হাফ ডুপ্লেক্স মোডে ডেটা উভয়দিকে প্রেরণ সম্ভব কিন্তু একই সময়ে নয়। যে ব্যবস্থাপনায় দু’টি ডিভাইসের মধ্যে উভয়ের দিকেই ডেটা প্রবাহ করা হয় তাই হাফ-ডুপ্লেক্স মোড। এতে ডেটা এক প্রান্ত হতে অন্য প্রান্তে পৌঁছানোর পর বিপরীত প্রান্তের ডেটা শুরুর দিকের প্রান্তে প্রবাহিত করে। যেমন— ওয়াকিটকি, ফ্যাক্স, এস.এম.এস প্রেরণ, ইন্টারনেট ব্রাউজিং ইত্যাদি হাফ-ডুপ্লেক্স মোডে চলে।

হাফ ডুপ্লেক্স মোডে কোনো একটি নির্দিষ্ট সময়ে কোনো একটি নির্দিষ্ট ডিভাইস ডেটা হয় গ্রহণ অথবা প্রেরণ করবে। একই সাথে ডাটা প্রেরণ এবং গ্রহণ করতে পারবেনা।

গ উদ্দীপকে উল্লিখিত তার মাধ্যমটি হলো কো-এক্সিয়াল ক্যাবল, যা দিয়ে ক্যাবল টিভি বা ডিস টিভির সংযোগ দেওয়া হয়। কো-এক্সিয়াল ক্যাবল তামা বা কপার নির্মিত মূলত তিনটি স্তর বিশিষ্ট তারের ক্যাবল, কেন্দ্রস্থলে একটি শক্ত তামার তারের কন্ডাক্টর, সেটিকে বৃত্তাকারে ঘিরে প্লাস্টিকের অপরিবাহী স্তর এবং এ স্তরকে ঘিরে তামার তারের একটি জাল বা শিল্ড (Braided Shield)। বাইরের শিল্ড এবং কেন্দ্রীয় তামার তারের অক্ষ একই থাকার দরুন এর নামকরণ কো-এক্সিয়াল করা হয়েছে। সবশেষে রাবারের অপরিবাহী পুরু স্তর এ ক্যাবলটিকে আবৃত করে রাখে। এ ক্যাবল ব্যবহার করে এক কিলোমিটার পর্যন্ত ডিজিটাল ডেটা প্রেরণ করা যায়। এক্ষেত্রে ডেটা ট্রান্সফার রেট 10 Mbs পর্যন্ত হতে পারে। Bayonet-Neil-conceiman (BNC) কানেক্টরের সাহায্যে এ নেটওয়ার্কে সংযোগ প্রদান করা হয় । ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্কিংয়ের ক্ষেত্রে এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণায় বিভিন্ন ল্যাবরেটরিতে এ ক্যাবল ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।

ঘ উদ্দীপকে শিক্ষক যে পরিসেবার কথা উল্লেখ করেছেন তা হলো ক্লাউড কম্পিউটিং।

বিভিন্ন ধরনের কম্পিউটার রিসোর্স যেমন— নেটওয়ার্ক, সার্ভার,স্টোরেজ, সফটওয়্যার ও সার্ভিস নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ক্রেতার সুবিধা অনুসারে, চাহিবামাত্র ও চাহিদা অনুসারে সহজে ব্যবহার করার সুযোগ প্রদান ও ভাড়া দেওয়ার সিস্টেম হলো ক্লাউড কম্পিউটিং। এটি অবকাঠামোগত, প্লাটফর্ম ও সফটওয়্যার সেবা প্রদান করে থাকে।

ক্লাউড কম্পিউটিং এর মাধ্যমে কোন ধরনের সফটওয়্যার বসানো হবে, কীভাবে কাজ চালানো হবে, কম্পিউটারগুলো কীভাবে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করবে, সবকিছু ব্যবহারকারী নিজের ইচ্ছেমতো নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এ পরিসেবায় ইন্টারনেট ও ওয়েব ব্রাউজার ব্যবহার করে Google docs দিয়ে মাইক্রোসফ্ট অফিসের প্রায় সব কাজ করা যায়। এ ব্যবস্থায় ব্যবহারকারীর যত সুবিধা প্রয়োজন হয় সেবাদাতা তত পরিমাণ সেবা দিতে পারে, এতে ক্রেতার আগে থেকেই কোনো সেবা সংরক্ষণ করতে হয় না। ক্রেতা যতটুকু ব্যবহার করবে, শুধুমাত্র ততটুকু মূল্য পরিশোধ করবে। এছাড়া এটি সবসময় ব্যবহার করা যায়। এটি মূলত একটি ব্যবসায়িক মডেল, যার দ্বারা ব্যবহারকারী ও সার্ভিস প্রদানকারী উভয়েই উপকৃত হন ।

সুতরাং উপরের আলোচনার আলোকে বলা যায়, ক্লাউড কম্পিউটিং এর মাধ্যমে ছোট-বড় যেকোনো চাহিদা মিটিয়ে ব্যবহারের উপর বিল প্রদান করা যায়।

HSC ICT 2nd Chapter CQ Suggestion 2024- 2025 with solution

গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ০

মোবাইল ফোনের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত স্ট্যান্ডার্ডগুলো হলো-
i. UMTS (Universal Mobile Telecommunication System)
ii. LTE (Long Term Evolution)
iii. MIMO (Multiple Input Multiple Output)

ক. NIC কী?
খ. কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং-এর উদ্দেশ্যসমূহ ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত (i) নং স্ট্যান্ডার্ডটি কোন প্রজন্মের মোবাইল ফোনে ব্যবহৃত হয়? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত (ii) ও (iii) নং স্ট্যান্টান্ডগুলো যে যে প্রজন্মের মোবাইল ফোনে ব্যবহৃত হয় তাদের মধ্যে তুলনামূলক বিশ্লেষণ কর। SYl23

প্রশ্নের উত্তর

ক) দুই বা ততোধিক কম্পিউটারের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য স্থাপিত কার্ডকে নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস কার্ড (NIC) বা ল্যান কার্ড বা নেটওয়ার্ক অ্যাডাল্টার বলে। এটিকে নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস কন্ট্রোলারও বলা হয়।

খ) কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং-এর উদ্দেশ্যসমূহ নিচে ব্যাখ্যা করা হলো-

১.ইন্টারনেট বিভিন্ন তথ্য দেখা বা ওয়েব সার্চের মাধ্যমে তথ্য খোঁজার মাধ্যমে ইনফরমেশন রিসোর্স শেয়ার করা।
২. নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সফটওয়্যার রিসোর্স শেয়ার করা।
৩. কম্পিউটারের সাথে যুক্ত অন্যান্য যন্ত্রপাতি যেমন- প্রিন্টার, মডেম, স্ক্যানার ইত্যাদি অন্য কম্পিউটার থেকে ব্যবহার করে। হার্ডওয়্যার শেয়ার করা। এতে করে খরচ বেঁচে যায়।

গ উদ্দীপকে উল্লিখিত (i) নং স্ট্যান্ডার্ডটি অর্থাৎ UMTS তৃতীয় প্রজন্মের মোবাইল ফোনে ব্যবহৃত হয়। নিচে তৃতীয় প্রজন্মের ব্যাখ্যা দেওয়া হলো-

তৃতীয় প্রজন্মের মোবাইল ফোনে সার্কিট সুইচিং ডেটা ট্রান্সমিশনের পরিবর্তে প্যাকেট সুইচিং ডেটা ট্রান্সমিশনের ব্যবহার করা হয়েছে। সার্কিট সুইচিং পদ্ধতিতে নেটওয়ার্কিং রিসোর্স বা ব্যান্ডউইথ বিভিন্ন অংশ বা পার্টে বিভক্ত হয়ে একটি সুনির্দিষ্ট পথে গন্তব্যে পৌঁছে, যার ফলে এর নিরাপত্তা ব্যবস্থা কম। প্যাকেট সুইচিং পদ্ধতিতে নেটওয়ার্কিং রিসোর্স বা ব্যান্ডউইথ বিভিন্ন প্যাকেটে বিভক্ত হয়ে ভিন্ন ভিন্ন পথে গন্তব্যে পৌঁছে এবং এর নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুদৃঢ়। এতে অবশ্য উভয় সুইচিং পদ্ধতিই চলে। পূর্বের তুলনায় উচ্চ ব্যান্ডের সিগন্যাল ফ্রিকোয়েন্সির ব্যবহার শুরু হয় (ডেটা ট্রান্সফার রেট 2 Mbps-এর বেশি)। ভিডিও কল, ইন্টারনেট, ই-কমার্স, মোবাইল ব্যাংকিং, FOMA ইত্যাদি সুবিধা নিয়ে তৃতীয় প্রজন্মের মোবাইল ফোন চালু হয়। তৃতীয় প্রজন্মের মোবাইল ফোনে মূলত চারটি স্ট্যান্ডার্ড চালু হয়। এগুলো হলো-

1. HSPA (High-Speed Package Access)
২. WCDMA (Wide-band Code Division Multiple Access)
3. 3GPP (3rd Gen Partnership Project)
8. UMTS (Universal Mobile Telecommunication System)

ঘ। উদ্দীপকে উল্লিখিত (ii) ও (iii) নং স্ট্যান্ডার্ডগুলো চতুর্থ ও পঞ্চম প্রজন্মের মোবাইল ফোনে ব্যবহৃত হয়। প্রজন্ম দুটির মধ্যে তুলনামূলক বিশ্লেষণ নিচে দেওয়া হলো-

১. চতুর্থ প্রজন্মের সময়কাল ২০০৯ ২০২০ পর্যন্ত। পক্ষান্তরে পঞ্চম প্রজন্মের সময়কাল ২০২০ সাল থেকে শুরু হয়ে চলমান আছে।

২. চতুর্থ প্রজন্মের মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট প্রটোকলভিত্তিক নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা হয়েছে। পক্ষান্তরে পঞ্চম প্রজন্মের মোবাইল সিস্টেমের নেটওয়ার্ক হলো wwww

৩. চতুর্থ প্রজন্মের মোবাইল ফোনে LTE স্ট্যান্ডার্ড কাজ করে। পক্ষান্তরে পঞ্চম প্রজন্মের মোবাইল ফোনে MIMO, 5GNR, RAT স্ট্যান্ডার্ড ব্যবহৃত হয়।

৪. চতুর্থ প্রজন্মের মোবাইল ফোনে ডেটা ট্রান্সফারের রেট সর্বোচ্চ 1Gbps। পক্ষান্তরে পঞ্চম প্রজন্মের মোবাইল ফোনে ডেটা ট্রান্সফার রেট 20 Gbps।

৫. পঞ্চম প্রজন্মের মোবাইল ফোনের পারফরম্যান্স চতুর্থ প্রজন্মের তুলনায় অনেকগুণ বেশি।

৬. MIMO প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে চতুর্থ প্রজন্মের তুলনায় পঞ্চম প্রজন্ম প্রায় 10 গুণ বেশি কর্মদক্ষতা প্রদানে সক্ষম।

গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ০৮

আফনান ও সাফনান দুই ভাই। আফনান তথ্য আদান-প্রদানের জন্য এক ধরনের ক্যাবল ব্যবহার করে যার মধ্যে ৪টি কমন রঙের (সাদা) তার রয়েছে এবং সাফনান তথ্য স্থানান্তরে বিশেষভাবে তৈরি পরিশুদ্ধ কাচের অত্যন্ত সূক্ষ্ম তন্তুবিশিষ্ট ক্যাবল ব্যবহার করে। অন্যদিকে আফনানের বন্ধু রাফসান তথ্য আদান-প্রদানের জন্য এমন এক ধরনের ক্যাবল ব্যবহার করে যা ডিজিটাল ও এনালগ উভয় ধরনের ডেটা আদান-প্রদানে সক্ষম এবং ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত হয়।

ক. হাফ ডুপ্লেক্স মোড কী?
খ. ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের সার্ভিস মডেল ব্যাখ্যা কর।
গ. তথ্য আদান-প্রদানে আফনানের ব্যবহৃত ক্যাবলটি ব্যাখ্যা কর।
ঘ. তথ্য স্থানান্তরে সাফনান ও রাফসানের ব্যবহৃত ক্যাবলের তুলনামূলক বিশ্লেষণ কর। Syl23

প্রশ্নের উত্তর

ক যে ব্যবস্থাপনায় দু’টি ডিভাইসের মধ্যে উভয়ের দিকেই ডেটা প্রবাহ করা হয় কিন্তু একই সময়ে সম্ভব নয় তাই হাফ-ডুপ্লেক্স মোড। যেমন— ওয়াকিটকি, ফ্যাক্স, এস.এম.এস প্রেরণ ইত্যাদি হাফ-ডুপ্লেক্স মোডে চলে।

খ ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের সার্ভিস মডেল নিচে ব্যাখ্যা করা হলো-
১. অবকাঠামোগত সেবা : এই মডেলে অবকাঠামো ভাড়া দেওয়া হয় ।
২. প্ল্যাটফর্মভিত্তিক সেবা: এই মডেলে ভার্চুয়াল মেশিন ভাড়া না দিয়ে ভাড়া দেওয়া হয় কম্পিউটিং প্ল্যাটফর্ম।
৩. সফটওয়্যারভিত্তিক সেবা: এই মডেলে ব্যবহারকারীরা সার্ভিসদাতা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন করা সফটওয়্যার ও ডেটাবেজ অ্যাকসেস এবং ব্যবহারের সুযোগ পায় ।

৪. নেটওয়ার্কভিত্তিক সেবা: এটি এমন একটি মডেল, যেখানে গ্রাহকরা তাদের নিজস্ব অবকাঠামো স্থাপনের পরিবর্তে ক্লাউড বিক্রেতার কাছ থেকে নেটওয়ার্ক পরিসেবাগুলো ভাড়া নিয়ে থাকেন।

গ তথ্য আদান-প্রদানে আফনানের ব্যবহৃত ক্যাবলটি হলো টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল । নিচে টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল ব্যাখ্যা করা হলো-

দুটি পরিবাহী তারকে পরস্পর সুষমভাবে পেঁচিয়ে টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল তৈরি করা হয়। টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল দু’ধরনের হয়ে থাকে, আনশিল্ডেড টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল এবং শিল্ডেড টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল । সাধারণ কপার নির্মিত এ সব ক্যাবলে মোট চার জোড়া তার প্রতিটি পৃথক অপরিবাহী পদার্থের আবরণে আবৃত থাকে। প্রতি জোড়া তারে একটি কমন রঙের (সাদা রঙের) আরেকটি ভিন্ন রঙের (যেমন— নীল, সবুজ, কমলা ও বাদামি) তারের সাথে প্যাঁচানো থাকে। প্রতি জোড়া তার পৃথক অপরিবাহী আবরণে আবৃত করা থাকে। এ ধরনের ক্যাবল ব্যবহার করে 100 মিটারের বেশি দূরত্বে কোনো ডেটা প্রেরণ করা যায় না। ক্যাটাগরির ভিত্তিতে এর ব্যান্ডউইথ 10 Mbps থেকে 1 Mbps পর্যন্ত হতে পারে, তবে দূরত্ব বাড়তে থাকলে ডেটা ট্রান্সফার রেট কমতে থাকে। বাসা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল ব্যবহৃত হয়।

ঘ তথ্য স্থানান্তরে সাফনান ও রাফসানের ব্যবহৃত ক্যাবলগুলো হলো অপটিক্যাল ফাইবার ও কো-এক্সিয়েল ক্যাবল। নিচে ক্যাবল দুটির তুলনামূলক বিশ্লেষণ করা হলো-

১. কো-এক্সিয়েল ক্যাবলের ব্যান্ডউইথ 10 Mbps পক্ষান্তরে অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবলের ব্যান্ডউইথ 10 Mbps – 10 Gbps।

২. কো-এক্সিয়েল ক্যাবলের সর্বোচ্চ তারের দৈর্ঘ্য 200 মিটার। পক্ষান্তরে অপটিক্যাল ফাইবারের সর্বোচ্চ তারের দৈর্ঘ্য 2 – 100 কিলোমিটার।

৩. কো-এক্সিয়েল ক্যাবল তামা বা কপার নির্মিত। পক্ষান্তরে অপটিক্যাল ফাইবার বিশেষভাবে পরিশুদ্ধ কাচের তৈরি অত্যন্ত সূক্ষ্ম তন্তু।

৪. কো-এক্সিয়েল ক্যাবলে তারের দৈর্ঘ্য বেশি হলে নেটওয়ার্ক দুর্বল হয়ে পড়ে। পক্ষান্তরে অপটিক্যাল ফাইবার রিপিটার ছাড়াই 50 কিলোমিটার পর্যন্ত ডেটা পাঠানো যায়।

৫. কো-এক্সিয়েল ক্যাবল ইনস্টল করা সহজ। পক্ষান্তরে অপটিক্যাল ফাইবার ইনস্টল পদ্ধতি অন্যান্য ক্যাবলের চেয়ে জটিল।

৬. কো-এক্সিয়েল ক্যাবল দামে সস্তা। পক্ষান্তরে অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল অত্যন্ত দামি।

গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ০

নিচের চিত্রগুলো লক্ষ কর:

HSC ICT 2nd Chapter CQ Suggestion 2024- 2025 with solution

ক. রাউটার কী?
খ. “ক্লাউড কম্পিউটারের তথ্যের গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা কম।” —ব্যাখ্যা কর।
গ. চিত্র-৩ এর টপোলজিটি ব্যাখ্যা কর।
ঘ. চিত্র-১ ও চিত্র-২ এর মধ্যে কোন টপোলজিটি অধিক সুবিধাজনক? আলোচনা কর। BR23

প্রশ্নের উত্তর

ক একই প্রোটোকলভুক্ত দুই বা ততোধিক স্বতন্ত্র নেটওয়ার্কের জন্য সংযোগ স্থাপন করে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করতে যে যন্ত্র ব্যবহার করা হয় তাই রাউটার।

খ ক্লাউড কম্পিউটিং তথ্যের জগতে বিশাল নিরাপত্তার ঝুঁকি সৃষ্টি করেছে। এই সার্ভিসে আপলোড করা তথ্য কোথায় সংরক্ষিত এবং প্রক্রিয়াকরণ হয়, তা ব্যবহারকারী জানতে পারে না। সেই তথ্য বা ডেটার উপর এবং প্রোগ্রাম বা সফটওয়্যারের উপর ব্যবহারকারীর একক নিয়ন্ত্রণ থাকে না। অর্থাৎ তথ্যের গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা তুলনামূলকভাবে কম।

গ চিত্র-৩ এ যে টপোলজিটি উল্লেখ করা হয়েছে সেটি হলো একটি হাইব্রিড টপোলজি। বিভিন্ন নেটওয়ার্ক যেমন স্টার, রিং, বাস, ট্রি ইত্যাদি নেটওয়ার্কের সমন্বয়ে যে টপোলজি গঠিত হয় তাকে হাইব্রিড টপোলজি বলে। ইন্টারনেট হলো হাইব্রিড টপোলজির একটি উদাহরণ কেননা এতে প্রায় সব ধরনের টপোলজির-ই নেটওয়ার্ক যুক্ত রয়েছে।

এ ধরনের টপোলজি বড় আকারের নেটওয়ার্কের জন্য সুবিধাজনক এবং এ টপোলজিতে নেটওয়ার্কের সমস্যা নির্ণয় করা সহজ। কিন্তু এ টপোলজিতে নেটওয়ার্ক স্থাপন জটিল ও ব্যয়বহুল। যেহেতু এটি মিশ্র টপোলজি তাই এতে ব্যবহৃত টপোলজিগুলোর টপোলজিগুলোর সুবিধা ও অসুবিধাগুলোও এতে অন্তর্নিহিত থাকে।

ঘ চিত্র-১ এ মেশ টপোলজি এবং চিত্র-২ এ স্টার টপোলজি রয়েছে। এর মধ্যে স্টার টপোলজি ব্যবহার অধিক সুবিধাজনক। যে টপোলজিতে প্রতিটি নোড (কম্পিউটার, প্রিন্টার ইত্যাদি) সরাসরি একটি হাব, স্যুইচ বা সার্ভারের মাধ্যমে যুক্ত থাকে এবং নেটওয়ার্কের মাধ্যমে প্রেরিত ডেটা নির্দিষ্ট ডিভাইসে যাওয়ার পথে কেন্দ্রীয় ডিভাইসের মধ্য দিয়ে যায় তাই স্টার টপোলজি। ফলে সংকেত আদান-প্রদানে কম সময় প্রয়োজন হয়। সংকেত প্রবাহ দ্বিমুখী হয়।

হাব বা স্যুইচ বা সার্ভার দিয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত স্টার টপোলজির নেটওয়ার্কে কোনো সমস্যা দেখা দিলে তা শনাক্ত করা সহজ হয়। পক্ষান্তরে, যে টপোলজিতে একটি কম্পিউটার নেটওয়ার্কভুক্ত অন্য কম্পিউটারের সাথে সরাসরি যুক্ত থাকে, ফলে যেকোনো কম্পিউটার নেটওয়ার্কভুক্ত অন্য যেকোনো কম্পিউটারের সাথে সরাসরি দ্রুত ডেটা আদান-প্রদান করতে পারে তাই মেশ টপোলজি। এ ধরনের সংগঠনে নেটওয়ার্কভুক্ত কম্পিউটারগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সংযোগকে পয়েন্ট- টু-পয়েন্ট (পিয়ার-টু-পিয়ার) লিংক বলা হয়। এটি সম্পূর্ণরূপে আন্তঃসংযুক্ত টপোলজি নামেও পরিচিত।

প্রচুর পরিমাণ তারের প্রয়োজন হওয়ায় এই টপোলজি অত্যন্ত ব্যয়বহুল। এর জটিল কনফিগারেশনের জন্য কম্পিউটার নেটওয়ার্কে সাধারণত এটি ব্যবহার করা হয় না।

উপরের আলোচনার আলোকে বলা যায়, মেশ টপোলজির তুলনায় স্টার টপোলজি অধিক সুবিধাজনক।

HSC ICT 2nd Chapter CQ Suggestion 2024- 2025 with solution

গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ১০

নিচের উদ্দীপকটি লক্ষ কর—

ক. ডেটা ট্রান্সমিশন মেথড কী?
খ. “বিশেষ কোনো লস ছাড়াই ফাইবার অপটিক ক্যাবলের ভিতর দিয়ে সিগন্যাল দীর্ঘ দূরত্বে নেওয়া সম্ভব।” – ব্যাখ্যা কর ।
গ. চিত্র-১ এর ডেটা ট্রান্সমিশন মোড উদাহরণসহ ব্যাখ্যা কর।
ঘ. চিত্র-২ এবং চিত্র-৩ এর ডেটা ট্রান্সমিশন মোডের মধ্যে কোনটি বেশি উপযোগী? বিশ্লেষণপূর্বক মতামত দাও। BR 23

প্রশ্নের উত্তর

ক’ এক ডিভাইস হতে অন্য ডিভাইসে ডেটা বিটের বিন্যাসের মাধ্যমে স্থানান্তরের প্রক্রিয়াই হলো ডেটা ট্রান্সমিশন মেথড।

খ হাজার হাজার কাচের তন্তু দিয়ে তৈরি যে ক্যাবলের মাধ্যমে আলোর গতিতে ডেটা আদান-প্রদান করা হয় তাকে ফাইবার অপটিক ক্যাবল বলে। ফাইবার অপটিক ক্যাবলে আলোর পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন ধর্ম ব্যবহার করে আলোর গতিতে অর্থাৎ সর্বোচ্চ গতিতে ডেটা ট্রান্সফার করা যায়। এ ক্যাবল বিদ্যুৎ চুম্বকীয় প্রভাব মুক্ত এবং প্রতিকূল পরিবেশে (যেমন— চাপ, তাপ) ইত্যাদি থেকে ডেটার নিরাপত্তা রক্ষা পায়। ফাইবার অপটিক ক্যাবলের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি ইনফ্রারেড আলোর একটি রেঞ্জের ভেতর (1300 1500 nm ) অবিশ্বাস্য রকম স্বচ্ছ, তাই শোষণের কারণে বিশেষ কোনো লস ছাড়াই এর ভেতর দিয়ে সিগন্যাল দীর্ঘ দূরত্বে নেয়া যায়।

গ উদ্দীপকে চিত্র-১ এর ডেটা ট্রান্সমিশনে সিমপ্লেক্স মোড দেখানো হয়েছে। যে পদ্ধতিতে ডেটা শুধু একদিকে প্রেরণ করা যায় তাকে সিমপ্লেক্স মোড বলে। এ পদ্ধতিতে শুধু একদিকে ডেটা পাঠানো সম্ভব হয়, প্রেরক শুধু ডেটা প্রেরণ করে এবং গ্রাহক শুধু ডেটা গ্রহণ করে।

অর্থাৎ প্রেরক প্রাপকের কাছে ডেটা পাঠাতে পারে, কিন্তু প্রাপক প্রেরকের কাছে পাঠাতে পারবে না। উদাহরণ- রেডিও, টেলিভিশন।

একইভাবে কীবোর্ড থেকে কম্পিউটারে ডেটা পাঠানো সিমপ্লেক্স মোডের অন্তর্গত। তাছাড়া মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর ব্যবহার করে ক্লাস নেওয়াও এ মোডের মধ্যে পড়ে।

ঘ উদ্দীপকে চিত্র-২ এ ডেটা ট্রান্সমিশনে হাফ ডুপ্লেক্স মোড দেখানো হয়েছে। এ পদ্ধতিতে উভয় দিক থেকে ডেটা আদান-প্রদানের ব্যবস্থা থাকে কিন্তু তা একসাথে সম্ভব নয়। অর্থাৎ প্রেরকের ডেটা পাঠানো সম্পন্ন হলে প্রাপক ডেটা পাঠাতে পারবে। যেমন— ওয়াকিটকি, ফ্যাক্স, এসএমএস প্রেরণ, ইন্টারনেট ব্রাউজিং, ক্লাসে পাঠদান ইত্যাদি ।

অপরদিকে চিত্র-৩ এ ডেটা ট্রান্সমিশনে ফুল ডুপ্লেক্স মোড দেখানো হয়েছে। এ পদ্ধতিতে ডেটা একই সাথে উভয় দিকে আদান-প্রদান করা যায়। অর্থাৎ প্রেরক ও প্রাপক উভয়ই একসাথে ডেটা আদান-প্রদান করতে পারে। আমরা স্বাচ্ছন্দ্যে কথা বলার জন্য যেসব প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকি সেগুলোর প্রায় সবগুলোর ফুল ডুপ্লেক্স, যেমন-ল্যান্ড ফোন, মোবাইল ফোন প্রভৃতি।

চিত্র-২ এবং চিত্র-৩ এর ডেটা ট্রান্সমিশন মোডের মধ্যে চিত্র-৩ বা ফুল ডুপ্লেক্স মোড বেশি উপযোগী, কেননা এ মোডে উভয় দিক থেকে একই সাথে ডেটা প্রেরণ ও গ্রহণ করা যায়।

HSC ICT 2nd Chapter CQ Suggestion 2024- 2025 with solution

গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ১১

পৌরবাসীর সুবিধার জন্য মেয়র মহোদয় আলোর গতিতে তথ্য আদান-প্রদানের উদ্দেশ্যে একটি নেটওয়ার্কের ব্যবস্থা করলেন। খরচ বেশি হওয়ায় প্রকৌশলীর পরামর্শে তারবিহীন অন্য একটি নেটওয়ার্ক স্থাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেন।

ক. রোবোটিক্স কী?
খ. নিম্ন তাপমাত্রায় চিকিৎসা সম্ভব– ব্যাখ্যা কর ।
গ. মেয়র মহোদয়ের বাস্তবায়িত নেটওয়ার্ক সিস্টেমটির বর্ণনা দাও।
ঘ. প্রকৌশলীর পরামর্শকৃত নেটওয়ার্কটির যৌক্তিকতা বিশ্লেষণ কর। DN 23

প্রশ্নের উত্তর

ক বিজ্ঞান, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং প্রযুক্তির সমন্বয়ে গঠিত যে বিষয়টি রোবটের ধারণা, নকশা, উৎপাদন, কার্যক্রম কিংবা ব্যবহার বাস্তবায়ন করতে পারে তাই হলো রোবটিক্স।

খ নিম্ন তাপমাত্রায় চিকিৎসা পদ্ধতি হলো ক্রায়োসার্জারি। এটা এমন এক প্রকার চিকিৎসা পদ্ধতি যার মাধ্যমে অত্যধিক শীতল তাপমাত্রা প্রয়োগ করে ত্বকের অস্বাভাবিক এবং রোগাক্রান্ত টিস্যু ধ্বংস করা হয়। ক্রায়োসার্জারি অতিরিক্ত শৈত্য তাপমাত্রায় (41°C) রোগাক্রান্ত সেলগুলোকে ধ্বংস করার কাজ করে। অতিরিক্ত শৈত্য যখন ভিতরের সেলগুলোকে ছিঁড়ে ফেলে তখন রক্তনালি থেকে রোগাক্রান্ত টিস্যুতে রক্তপ্রবাহ বন্ধ করে আরও নষ্ট করে ফেলে। সুতরাং বলা যায় নিম্ন তাপমাত্রায় চিকিৎসা সম্ভব।

গ মেয়র মহোদয়ের বাস্তবায়িত নেটওয়ার্ক সিস্টেমটি হলো মেট্রোপলিটন এরিয়া নেটওয়ার্ক (MAN)`।মেট্রোপলিটন এরিয়া বলতে একটি শহর বা ছোট অঞ্চলজুড়ে বিস্তৃত এলাকাকে বোঝায়, এরকম একটি বড় এলাকার বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত কতকগুলো কম্পিউটার নিয়ে গঠিত নেটওয়ার্ক হলো MAN। যেহেতু মেয়র সাহেব সমগ্র পৌরসভাকে নেটওয়ার্কের আওতায় এনেছেন সুতরাং তার দ্বারা বাস্তবায়িত নেটওয়ার্কটি হলো MAN. MAN এর বিস্তৃতি LAN এর চেয়ে বড় কিন্তু WAN এর চেয়ে ছোট হয়।

প্রায় ৫০ কি. মি. দূরত্ব পর্যন্ত MAN এর নেটওয়ার্ক থাকতে পারে। এ ধরনের নেটওয়ার্কের জন্য মাধ্যম হিসেবে ফাইবার অপটিক ক্যাবল, টেলিফোন লাইন, মডেম, মাইক্রোওয়েভ, রেডিও ওয়েভ বা টেরিস্ট্রিয়াল মাইক্রোওয়েভ প্রয়োজন হয়। নেটওয়ার্ক ডিভাইস হিসেবে রাউটার, সুইচ, হাব, ব্রিজ, গেটওয়ে ইত্যাদি এই নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত হয়। সাধারণত কোনো বড় ধরনের শিল্প প্রতিষ্ঠান বা ব্যাংকের শাখা অফিসের মধ্যে যোগাযোগের জন্য MAN নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা হয়। একাধিক LAN এর সংযাগ স্থাপন করে MAN নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয়।

ঘ) উদ্দীপকের প্রকৌশলী মেয়র মহোদয়কে তারবিহীন অন্য যে নেটওয়ার্ক স্থাপনের পরামর্শ দেন তা হলো Wimax। পৌরবাসীর সুবিধার জন্য মেয়র মহোদয় ফাইবার অপটিক ক্যাবল ব্যবহার করে নেটওয়ার্ক স্থাপনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলেন। তার মাধ্যমগুলোর মধ্যে ফাইবার অপটিক ক্যাবল সব থেকে দামি। তাই ফাইবার অপটিক ক্যাবল ব্যবহার করে নেটওয়ার্ক স্থাপন অত্যন্ত ব্যয়বহুল।

অন্যদিকে WiMax তারবিহীনভাবে নেটওয়ার্ক স্থাপনের একটি প্রযুক্তি। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে নেটওয়ার্ক স্থাপনের খরচ অপটিক্যাল ফাইবার ব্যবহার করে নেটওয়ার্ক স্থাপনের খরচের তুলনায় অনেক কম। তাছাড়া Wi-Max এর মাধ্যমে একটি একক বেস স্টেশনের মাধ্যমে বিশাল ভৌগোলিক এলাকায় হাজার হাজার ব্যবহারকারীকে ওয়্যারলেস ইন্টারনেট সুবিধা দেওয়া যায়। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের প্রকৌশলীর পরামর্শকৃত নেটওয়ার্কটি যথেষ্ট যৌক্তিক।

HSC ICT 2nd Chapter CQ Suggestion 2024- 2025 with solution

গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ১২

নিচের চিত্র দুটি লক্ষ কর-

HSC ICT 2nd Chapter CQ Suggestion 2024- 2025 with solution

ক. ব্যান্ডউইথ কী?
খ. ক্লাউড কম্পিউটিং এর সুবিধা লিখ ।
গ. চিত্র-১ এর নেটওয়ার্ক টপোলজি বিশ্লেষণ কর।
ঘ. চিত্র-১ ও চিত্র-২ টপোলজিদ্বয়ের মধ্যে কোনটি সুবিধাজনক? তোমার মতামত দাও ।

প্রশ্নের উত্তর

ক প্রতি সেকেন্ডে যে পরিমাণ ডেটা এক স্থান হতে অন্য স্থানে স্থানান্তরিত হয় অর্থাৎ ডেটা স্থানান্তরের হারই ব্যান্ডউইথ।

নিজস্ব ছোট্ট কম্পিউটারে ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে একটি বিশালাকার কম্পিউটার ভাড়া করে যথেচ্ছা ব্যবহার এবং যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সেই কম্পিউটারে সংরক্ষণের ধারণাটি হলো ক্লাউড কম্পিউটিং । ক্লাউড কম্পিউটিং এর সুবিধাসমূহ হলো-

১. ক্রেতার যত সুবিধা প্রয়োজন হবে সেবাদাতা তত পরিমাণ সেবা দিতে পারবে।
২. ক্রেতাকে আগে থেকেই কোনো সেবা সংরক্ষণ করতে হবে না।
৩. ক্রেতা যতটুকু ব্যবহার করবে, শুধুমাত্র ততটুকু মূল্য পরিশোধ করবে।
৪. ক্রেতা ক্লাউড এর উপর চলছে এমন সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারবে।

গ) চিত্র-১ এর নেটওয়ার্ক টপোলজিটি হলো রিং টপোলজি। যে টপোলজিতে রিং-এর ন্যায় কম্পিউটার নোডগুলো চক্রাকার পথে পরস্পরের সাথে সংযুক্ত হয়ে নেটওয়ার্ক গঠন করে তাই রিং টপোলজি ।

সাধারণত কাছাকাছি বা একই ভবনের বিভিন্ন কম্পিউটারকে ক্যাবল দ্বারা সংযোগের ক্ষেত্রে রিং টপোলজি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

এক্ষেত্রে কম্পিউটার নোডগুলো চক্রাকার পথে পরস্পরের সাথে যুক্ত হয়ে নেটওয়ার্ক গঠন করে। এই বৃত্তাকার নেটওয়ার্কে প্রথম ও সর্বশেষ কম্পিউটার পরস্পরের সাথে যুক্ত থাকে এবং এতে কেন্দ্রীয় কোনো ডিভাইস বা সার্ভারের প্রয়োজন হয় না। নেটওয়ার্কে যুক্ত প্রতিটি কম্পিউটার ডেটা

চিত্র: রিং টপোলজি

তারের পরিমাণ কম প্রয়োজন হয় বলে এর বাস্তবায়ন খরচ কম লাগে। তবে রিং টপোলজিতে কোনো একটি কম্পিউটার অকেজো হয়ে গেলে সম্পূর্ণ নেটওয়ার্কই অকেজো হয়ে যায় এবং এদের পরস্পরের মাঝে ডেটা আদান-প্রদান ব্যাহত হয়। এতে করে ডেটা কমিউনিকেশনের ক্ষেত্রে অসুবিধা সৃষ্টি হয়।

ঘ। উদ্দীপকে চিত্র-১ ও চিত্র-২ এর টপোলজি দুটি হলো যথাক্রমে রিং টপোলজি এবং মেশ টপোলজি। রিং টপোলজি ও মেশ টপোলজির মধ্যে মেশ টপোলজি বেশি সুবিধাজনক।

১. মেশ টপোলজিতে যেকোনো দুইটি কম্পিউটারের মধ্যে দ্রুত ডেটা আদান-প্রদান করা যায়। কিন্তু রিং টপোলজিতে ডেটা চলাচলের গতি কম এবং খরচও বেশি।

২. মেশ টপোলজিতে কোনো কম্পিউটার নষ্ট হয়ে গেলে অন্য কম্পিউটারে ডেটা আদান-প্রদানে কোনো সমস্যা হয় না। কিন্তু রিং টপোলজিতে কোনো কম্পিউটার (১, ২ ও ৩ এর মধ্যে) যেকোনোটি নষ্ট হয়ে গেলে সম্পূর্ণ নেটওয়ার্ক অচল হয়ে পড়ে।

৩. মেশ টপোলজির নেটওয়ার্কের সমস্যা খুব সহজে সমাধান করা যায়। কিন্তু রিং টপোলজি যেকোনো সমস্যা নিরূপণ করা বেশ জটিল ।

৪. মেশ টপোলজিতে এক নোড থেকে অন্য নোডে ডেটা সরাসরি স্থানান্তর করা যায়। কিন্তু রিং টপোলজিতে কম্পিউটারের সংখ্যা বাড়ালে ডেটা পারাপারের সময়ও বেড়ে যায় ।

উপরে বর্ণিত আলোচনার প্রেক্ষিতে এটি স্পষ্ট যে, রিং টপোলজির চেয়ে মেশ টপোলজিই উত্তম।

HSC ICT 2nd Chapter CQ Suggestion 2024- 2025 with solution

প্রশ্ন ১৭ ময়মনসিংহ বোর্ড ২০২৩

‘X’ কলেজে মাল্টি কম্পোনেন্ট কাচ দিয়ে তৈরি মাধ্যম ব্যবহার করে কম্পিউটারসমূহের মধ্যে নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয়েছে। কলেজটি 40 km দূরে অবস্থিত ‘Y’ কলেজের সাথে IEEE 802.16 স্ট্যান্ডার্ড বিশিষ্ট কমিউনিকেশন ডিভাইস দ্বারা যুক্ত।

ক. ব্যান্ডউইথ কী?
খ. ভিন্ন প্রটোকলের নেটওয়ার্ককে যুক্ত করতে কোন ডিভাইস প্রয়োজন? ব্যাখ্যা কর।
গ. ‘X’ কলেজের নিজস্ব নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত মাধ্যমটি ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘X’ কলেজের সাথে ‘Y’ কলেজের যুক্তের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত কমিউনিকেশন ডিভাইসটি ব্যাখ্যাপূর্বক বিশ্লেষণ কর।

Read More:

Leave a Comment

error: Content is protected !!
Scroll to Top